ইন্টারনেট থেকে আয় পর্ব 4

I need a website

Hey! I need a website. The website will be an ECommerce Website. If you want to know about the structure, demo or layout. It's simple. It will be similar to Amazon.com or Daraz.com. I need this done within 14 days. Thanks

Budget: $1500 Duration: 2 Weeks




ঠিক এ ধরনের একটি করে প্রতিদিন লাখ লাখ টাইটেল এবং ডেস্ক্রিপশন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে স্ট্যাটাসের মতাে পােস্ট হতেই থাকে। এবার এ ধরনের পােস্ট দেখে একজন ফ্রিল্যান্সার সেখানে আবেদন করার একটি অপশন পান এবং সেই অপশনে গিয়ে আবেদন লিখেন। আবেদনটির একটি নমুনা দেওয়া হলাে :

বি. দ্র. : যে আবেদনটি দেওয়া হয়েছে এটি পুরােপুরি কপি ব্যবহার করা যাবে না। কারণ ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এক একটি আবেদনের জন্য এক-এক রকমভাবে লিখতে হবে। তবে এখানে আসলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আপনি কারাে কাজ করে দিতে ইচ্ছুক এবং আপনার কী কী অভিজ্ঞতা আছে এসব সম্মানের সাথে লিখে আবেদন করলেই হবে।

যেমনঃ

Dear Hiring Manager,

Thanks for posting the project. I have gone through your description & I believe that my skills are ideal for this project.


Over the last 8 years I have been working as a Senior Web Developer and developed many ECommerce websites.


I have the following skills:

HTML5, CSS3, PHP, JAVASCRIPT, JQUERY, BOOTSTRAP, WORDPRESS THEME & PLUGIN DEVELOPMENT ETC


On the other hand I can speak in English fluently which will make our communication easy.

Looking forward to hearing from you soon.


Sincerely 

Nasim


মােটামুটি এভাবে গুছিয়ে সম্মানের সাথে লিখে বিভিন্ন দেশ থেকে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সাররা সেই সার্কুলার বা প্রজেক্টে আবেদন করেন। এই আবেদনকে বলা হয় “বিড” অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সাররা সেই প্রজেক্টে বিড করেন। এরপর যিনি প্রজেক্ট পােস্ট করেছেন তিনি যদি হন নিউইয়র্ক থেকে আর বাকি ফ্রিল্যান্সাররা যদি হয় অন্যান্য দেশ থেকেন।

তখন সময় না মিলার কারণে অনেকেই ঘুমিয়ে থাকেন। তাে যারা জেগে থাকেন তারা আবেদন করেন। বায়ারটি কিছুক্ষণ পরে বা কয়েক ঘণ্টা পরে বা একদিন পরে হলেও আবেদনগুলাে চেক করেন। ঠিক যেমন আমরা ফেসবুকে নােটিফিকেশন চেক করি অনেকটা সেরকমই। বায়ারটি চেক করার সময় যদি কারাে আবেদন পড়ে ভালাে লাগে, বিশ্বস্ত মনে হয়, তখন তাকে মেসেজ করেন। এক্ষেত্রে বায়ার-এর আগে কোনাে ফ্রিল্যান্সার তাকে মেসেজ করতে পারবেন না। এই অপশনটি সেখানে থাকে না।

নয়তাে সবাই মেসেজ দিয়ে ইনবক্স ফুল করে ফেলবেন। তাই ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষ এই সুযােগ রাখেননি। বায়ার ম্যাসেজ দেওয়ার পরে যদি দেখেন যে সেই ফ্রিল্যান্সার অনলাইনে নেই বা তার দেশে তখন রাত ৩টা সে ঘুমাচ্ছেন। তাহলে বায়ারটির ইচ্ছে হলে অপেক্ষা করেন উত্তরের জন্য; আর নয়তাে সে আরেকজনকে মেসেজ দেন যিনি অনলাইনে রয়েছেন।

‘আর এ কারণেই বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা একটু রাত বেশি জাগে প্রজেক্টের আশায়।

এরপরে বায়ার ও ফ্রিল্যান্সার মিলে বিস্তারিত কথাবার্তা বলেন মেসেজে। সবকিছু ঠিক থাকলে বায়ার প্রজেক্টটি ফ্রিল্যান্সার-এর কাছে হ্যান্ডওভার করে দেন সেই মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে এবং প্রজেক্টের টাকা জামানােত হিসেবে মার্কেটপ্লেসের কর্তৃপক্ষকে দিয়ে দেন (Third Party)। তবে প্রতারণার ভয় থাকে না এবং সেখানে বাকি ফ্রিল্যান্সারদের কাছে নােটিফিকেশন চলে যায় যে কাঙিক্ষত প্রজেক্টটি অমুকের কাছে হ্যান্ডওভার করা হয়েছে। |

বায়ার যে টাইম দেয় ফ্রিল্যান্সার চাইলে সেই টাইমের মধ্যেই কাজ শেষ করে ফেলতে পারে বা তার আরও সময় প্রয়ােজন হলে চেয়ে নিতে পারে। কিন্তু বায়ার-এর খুব আর্জেন্ট হলে আর কিছু করার থাকে না; ফ্রিল্যান্সারকে সে কাজটি সম্পন্ন করতেই হবে, অন্যথায় প্রজেক্ট কেনসেল হবে এবং মার্কেটপ্লেস কর্তৃপক্ষ, জামানােতের টাকা বায়ারকে ফেরত দিয়ে দেবেন।

কাজ শেষ করার পর ফ্রিল্যান্সারকে বায়ার সেই মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে ডলার দিয়ে দেন এবং মার্কেটপ্লেস থেকে টাকা WITHDRAW বা ট্রান্সফার করতে গেলে ফ্রিল্যান্সার তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট প্রদান করে সাবমিট করে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সেই ডলার টাকায় কনভার্ট হয়ে ফ্রিল্যান্সারের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ডিপােজিট হয়ে যায়। ব্যস, এভাবেই কাজগুলাে সম্পন্ন হয়ে থাকে


ফ্রিল্যান্সিং-এর ভবিষ্যৎ কী?

ফ্রিল্যান্সিং-এর ভবিষ্যৎ এক কথায় অনেক ভালাে। কারণ যত দিন যাচ্ছে পৃথিবী ততই উন্নত হচ্ছে। মানুষের বিভিন্ন রকম চাহিদা বাড়ছে। বিভিন্ন নতুন নতুন কোম্পানি গঠন হচ্ছে। নতুন নতুন প্রােডাক্ট আসছে। যেসব জিনিসের সাথে রয়েছে আইসিটির গভীর সম্পর্ক। এখন আইসিটি ছাড়া যেহেতু কোনাে কোম্পানিকে কল্পনা করা যায় না, ঠিক তেমনি সেই কোম্পানির অনেক কাজকর্ম করার জন্য মানুষের প্রয়ােজন হবে। আর কোম্পানিগুলাে তাদের পেআউট বা কর্মচারীদের স্যালারি যা দিয়ে থাকে তা কমানাের জন্য আউটসাের্স করে ফ্রিল্যান্সারদের দিয়ে কাজ করিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন দিনের পর দিন। |
এভাবে যত দিন যাচ্ছে তত বেশি ফ্রিল্যান্সার তৈরি হচ্ছে এবং বায়ারের সংখ্যা বাড়ছে। তাই বর্তমানে কিন্তু কমপিটিশন অনেক বেশি এবং আগের মতাে আর এই ব্যাপারটি সহজ নেই। ভালাে স্কিলওয়ালা মানুষের অভাব নেই এই পৃথীবিতে এখন। তাই আপনাকে নিজের স্কিলকেও খুব ভালােভাবে ডেভেলপ করে নিতে হবে। নয়তাে অল্প কিছু স্কিল ডেভেলপ করে ফ্রিল্যান্সিং পেশায় আসতে গেলে আপনি দু-দিনেই ঝরে পড়বেন।

শিক্ষাগত যােগ্যতা ও বয়স

শিক্ষাগত যােগ্যতা ও বয়স নিয়ে অনেকের চিন্তা রয়েই যায় যে, ফ্রিল্যান্সিং করতে গেলে শিক্ষাগত যােগ্যতা ও বয়সের তারতম্য কোনাে প্রভাব ফেলবে কি না অথবা ১৮ বছরের নিচে হলে ফ্রিল্যান্সার হওয়া যাবে কি না ইত্যাদি। এর জন্য ছােট্ট করে বলতে হয়, ফ্রিল্যান্সিং যেহেতু আপনাকে কোনাে অফিসে গিয়ে চাকরি করতে বলে না, সেহেতু এখানে সার্টিফিকেট দিয়ে ইন্টারভিউ-এর কোনাে দরকার হয় না। এখানে প্রয়ােজন হয়। কাজের দক্ষতা। আর যদি বয়সের কথা বলি তবে এখানেও কোনাে নির্ধারিত বয়স নেই। আপনি যদি ১৮ বছরের নিচে হয়ে থাকেন, ভােটার আইডি কার্ড বা পাসপাের্ট কিছুই না থাকে। তবে আপনার ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য যে সমস্ত ডকুমেন্টস প্রয়ােজন। সেগুলাে নিজের বাবা-মা অথবা ভাই-বােনের ডকুমেন্টস ব্যবহার। করলেই চলবে। কাজ আপনি নিজেই করবেন। শুধু নিবন্ধন তাদের নামে হবে। এক্ষেত্রে কোনাে প্রকার সমস্যা হবে না।


কিন্তু আপনি তাে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কোনাে একজন ব্যক্তির সাথে অনলাইনে যােগাযােগ করবেন অর্থাৎ আপনাকে দিয়ে যে কাজ করিয়ে নেবেন তিনি হতে পারেন বাংলাদেশি, হতে পারেন ইন্ডিয়ান, হতে পারেন আমেরিকান তাহলে ভাবুন তাে যে। মানুষটির সাথে কাজ করবেন তার সাথে অবশ্যই আপনার ম্যাসেজ/কাভারসেশন হবে, তাই না? যদি আপনি হিন্দি জানেন তবে ইন্ডিয়া থেকে হলে আপনি হিন্দিতে কথা বলতে পারবেন, আর বাংলাদেশি হলে বাংলায় এবং অ্যামেরিকান হলে তাে ইংরেজি ছাড়া কোনাে কথাই নেই। প্রকৃতপক্ষে অনলাইনের কাজগুলাে ইউরােপিয়ান, আমেরিকানরা বেশি করতে দেয় আর তাদের ভাষাটাও ইংরেজি।

অতএব ইংরেজি ছাড়া আপনি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারবেন না। কিন্তু কাজ শেখা শুরু করতে পারেন। পাশাপাশি ইংরেজি ভাষাও পরিচর্চার মাধ্যমে কাজ শেখা শেষ হতে না হতেই ইংরেজিতে ভালােভাবে লিখতে, পড়তে ও বুঝতে হবে। স্পিকিং করতে পারলে সুবিধা বেশি পাওয়া যায়।।




No comments

Powered by Blogger.